ষ্টাফ রিপোর্টার :: প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে তৈরি পোশাক পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার ঢাকা অ্যাপারেল সামিট উদ্বোধন করে তিনি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান এই খাতের শিল্পোদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ানোর এই আহ্বান জানান।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পোশাক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগী হতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট’ বাজারের মধ্যে আটকে না থেকে নতুন নতুন বাজার যাতে খুঁজে পাওয়া যায়; সেই উদ্যোগ নিতে হবে।’
‘পোশাকেরও তো বৈচিত্র্য আছে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পোশাক মানুষ ব্যবহার করে। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমি আমাদের ব্যবসায়ীদের বলব, শুধু এক জায়গায় না থেকে আপনারাও দেখেন, কোন দেশে কোন পোশাকের চাহিদা সব থেকে বেশি। প্রত্যেক সিজনের সঙ্গে সঙ্গে রঙের বৈচিত্র্যও আছে, সেগুলো দেখে আপনারাও কিন্তু বৈচিত্র্যপূর্ণতা আনতে পারেন।’
‘আপনারা যদি এটা দেখে করেন, তাহলে কখনোই আমাদের এই শিল্পটা মার খাবে না,’ বলেন শেখ হাসিনা।
‘আমাদের ট্যাক্সে আবার তারা চলে; এটা আবার মনে রাখতে হবে,’ হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলার পর উপস্থিত ব্যবসায়ীরাও করতালি দিয়ে ওঠেন। তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
পোশাকশিল্পকে নিরাপদ করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গৃহীত উদ্যোগের আওতায় ইতোমধ্যে তিন হাজার ৮৬৯টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ৩৯টি কারখানায় ত্রুটি পাওয়া গেছে এবং সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রম চলছে।
সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে উন্নত বিশ্বের ক্রেতা কোম্পানি ও দেশগুলোর সহযোগিতাও প্রত?্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়ের মায়দোন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএয়ের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বিজিএমইএয়ের প্রথম সহ-সভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ।