পূর্ণিমাষ্টাফ রিপোর্টার :: চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। তবে গত দুই বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে স্বামী-সংসার নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন পূর্ণিমা।

স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামাল ও একমাত্র কন্যাসন্তান আর্শিয়া উমাইজাকে নিয়েই তার দিন কাটছে। কখনো শ্বশুরবাড়ি চট্টগ্রাম আবার কখনো ঢাকাতেই সময় কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পূর্ণিমার আপাতত আর অভিনয়ে ফেরার পরিকল্পনা নেই। তাছাড়া তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিষয়ে নাকি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঘোর আপত্তি রয়েছে। এ কারণেই দুই বছর ধরে চলচ্চিত্র, নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনে কাজ করা থেকে দূরে আছেন তিনি।

পূর্ণিমা জানান, ইতোমধ্যে তার জীবনের অনেক কিছু বদলে গেছে। রুপালি জগৎ থেকে অনেক দূরত্বও তৈরি হয়েছে। তাই এ সময় এসে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রত্যাবর্তন করা খুব একটা সহজ নয়। আপাতত স্বামী-সন্তানকেই সময় দিচ্ছেন তিনি। আগামীতেও তাদের নিয়ে থাকতে চান।

সর্বশেষ গত বছর পূর্ণিমা অভিনীত ও সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। মুক্তির পর এ ছবিটি দর্শকমহলে ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি। এদিকে দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে আছে পূর্ণিমার দুটি ছবি। এগুলো হচ্ছে ‘ছায়া-ছবি’ ও ‘টু বি কন্টিনিউড’। এর মধ্যে ‘ছায়া-ছবি’ নির্মাণ করছেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। পূর্ণিমা-আরেফিন শুভ জুটির প্রথম অভিনীত এ ছবিটি দীর্ঘদিন রহস্যজনক কারণে আলোর মুখ দেখছে না।

অন্যদিকে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘টু বি কন্টিনিউড’র কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এ ছবিতে পূর্ণিমার নায়ক তাহসান। তবে ছবি দুটি সম্পর্কে বর্তমানে কিছুই জানেন না পূর্ণিমা।

‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করলেও জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মধ্য দিয়ে নায়িকা পূর্ণিমার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। প্রথম ছবিতে সফলতার দেখা না পেলেও ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা নায়িকা হয়ে ওঠেন তিনি।
‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘ছোট্ট একটু ভালোবাসা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘সুলতান’, ‘শাস্তি’, ‘শুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘পিতামাতার আমানত’, ‘মাটির ঠিকানা’, ‘সাথী তুমি কার’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘মাটির ঠিকানা’সহ অসংখ্য ভালোমানের ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন পূর্ণিমা। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর খ্যাতিও অর্জন করেন তিনি।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here