মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের ১৩৬ সদস্যকে প্রশিক্ষণ পরবর্তী সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে পায়রা বন্দরের ওয়্যার হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পায়রা বন্দর কর্তপক্ষ’র ডিআইএসএফ’র প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মুনিরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান কমডোর মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বেসরকারী সংস্থা ডরপ এর ডেপুটি টিম লিডার জেবা অফরোজের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পায়রা বন্দর’র উপ-সচিব ও যুগ্ন পরিচালক(ভূমি) খন্দকার নূরুল হক, কে আই আই টি’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এম এ সালেহ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র উপ-পরিচালক(ব্রেক বাল্ক) আজিজুর রহমান, ডরপ এর টিম লিডার এম এ সালাম প্রমুখ।
প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শারমিন সুলতানা শিল্পী, মিজানুর রহমান ও রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান কমডোর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু দেশে এবারই প্রথম ক্ষতিগ্রস্থ্য প্রতি পরিবার থেকে একজনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মক্ষম করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে তিনমাস মেয়াদী ১৩৬ জনকে বেসিক কম্পিউটার, মটর ড্রাইভিং ও রাজমিস্ত্রির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছরে ৪২০০ জন নারী-পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে শুধু প্রশিক্ষণই নয়, পূরর্বাসনের জন্য ৩৫০০ পরিবারকে পাকা ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে। যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
তিঁনি বলেন, পায়রা বন্দরে ১২ টি কম্পোনেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বিমান বন্দর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ১৮০ কিঃমিঃ রেল লাইন, শিপ ইয়ার্ড ও শিপ মেরামত কারখানা তৈরি, ট্যুরিজম সুবিধাদি নির্মাণ, পেট্রোলিয়াম রিফাইনারী প্লান্ট স্থাপন ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মান করা হবে। এ সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে এ ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় বিশাল শিক্ষিত ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র ডিআইএসএফ’র প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মুনিরুজ্জামান বলেন, পায়রা বন্দরে শিক্ষিত বেকারদের বিপুল পরিমান কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে নির্মানাধীন শেখ হাসিনা চারলেন সড়ক এ কাজ ২০১৯ সালের জুনে শেষ হবে।
এছাড়া ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রথম টার্মিনাল জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা, ভারত সরকারের অর্থায়নে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা, কোল টার্মিনালের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকাসহ মোট ২২ হাজার কোটি টাকার মধ্যমেয়াদী প্রকল্প আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার হার যেমন বাড়বে, তেমনি শিল্প কল কারখানার প্রসার ঘটবে। কর্মসংস্থান হবে ক্ষতিগ্রস্থ্য ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর।