কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি:: পাবনা সদর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে মা ও তার দুই বছরের শিশু সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলের দিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যার পরে পুলিশ মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের বোরোগীপাড়া গ্রামের সুজন আলীর স্ত্রী রুশী খাতুন (২৫) ও শিশু সন্তান রোহান (২)।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু সন্তানকে নিয়ে মা রুশী খাতুন তাদের ঘরেই ছিলেন। এ সময় তার স্বামী সুজন আলী বাড়িতে ছিলেন না। দীর্ঘসময় ঘরের দরজা না খোলায় স্বজন ও প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। পরে ঘরের দরজা খুলে মা-ছেলের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার ও একটি ধারালো চাকু জব্দ করে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, ঘরের মেঝেতে মায়ের ও চৌকির উপর শিশু সন্তানের মরদেহ পড়েছিল। মায়ের পায়ের কাছে রক্তামাখা চাকু ছিল। তবে কারা, কি কারণে তাদের হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহত রুশীর স্বামী সুজন ঢাকায় মাইক্রেবাসের চালক হিসাবে কাজ করতো। গত এক সপ্তাহ আগে সে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে মাছের ব্যবসা শুরু করে। তার স্ত্রী রুশী খাতুনের মানসিক সমস্যা ছিলো এবং তিনি তিনি কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা পুলিশকে নিশ্চিত করেছে।
মানসিক সমস্যার কারণে শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মা নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাদের কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এ নিয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ধু¤্রজাল। গতকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পুলিশ নিহত রুশী খাতুনের স্বামী সুজনেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে।