কলিট তালুকদার, পাবনা : পাবনায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লড়্গ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বেশি জমিতে পাটের আবাদ করা হয়। পাটের ফলন ভাল হওয়ায় অতিতের সব ড়্গতি পুষিয়ে নিতে পাটের ন্যায্য মুল্য নির্ধারনের দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভুতি ভুষন সরকার জানান. চলতি মৌসুমে পাবনায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৮শ ৭৯ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয় ৩৭ হাজার ২শ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে। বিঘাপ্রতি উৎপাদনের লড়্গ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১ মে. টন। তবে অতিবৃষ্টিতে জেলার কিছু অঞ্চলে পাট চাষ ব্যাহত হলেও উচু জমিতে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো জানান, গতবারে পাটের বাজার মূল্য ছিল ৬’শ থেকে ৭’শ টাকা, এবারে বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যনত্ম।

কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর সুত্রে জানান গেছে, পাবনায় পাটের সব চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে  সুজানগর উপজেলার দুলাই, রানীনগর, সাতবাড়িয়া, তাতীবন্ধ ও আহাম্মদপুর এবং সাঁথিয়া উপজেলার আর/আতাইকুলা, ভুলবাড়িয়া, নন্দনপুর,কাশিনাথপুর ইউনিয়নে। এছাড়া বেড়া, চাটমোহর ও পাবনা সদর উপজেলাতেও পাটের ভাল ফলন হয়েছে।

আর/আতাইকুলা ইউনিয়নের তৈলকুপী  গ্রামের কৃষক আশরাফ হোসেন জানান,পাটের ফলন ভাল হয়েছে, তবে অতিবৃষ্টি থেকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে গোড়ায় পানি জমে পাট গাছ পচে গেছে। আরো বৃষ্টির আশংকায় অনেক কৃষকই আগাম কেটে ফেলছে পাট গাছ। এতে কিছুটা ফলন বিপর্যয় হয়েছে। পাট কাটার হিরিক পরায় কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে ।

সুজানগরের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের কৃষক ময়েন উদ্দিন জানান, এবার পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গত কয়েক বছরে পাট ফসলে কৃষকদের লোকসান গনতে হয়েছে। বিগত দিনের মতো যেন বাজারে পাটের দরপতন না ঘটে সেদিকে সরকার নজর দিবেন বলে তিনি দাবি করেন। পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকরা পাট চাষে আর উৎসাহ হারাবে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here