পারভেজ মোশাররফডেস্ক নিউজ :: পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এবার দেশটির নাগরিকত্ব  হারিয়েছেন।    কিন্তু এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন।
ফলে সরকার বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মধ্যে কোনও একটি খারিজ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে সাংবিধানিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
অবিলম্বে মুশাররফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইসি) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাসির উল মুল্‌ক। শনিবারই তার পরিচয়পত্র বাতিল করেছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি। যার অর্থ, মুশাররফের পাকিস্তানি পাসপোর্টেরও আর মূল্য থাকল না।
মুশারফ এই মুহূর্তে দুবাইয়ে। এনআইসি, পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় এখন আইন মেনেই তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
কিন্তু মুশারফ ভোটের আগে নিজেই পাকিস্তানে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছে তার দল এপিএমএল। সম্প্রতি এক শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মুশাররফকে সাধারণ নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দিয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ১৩ জুন তাকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু ওই সময়ে তাকে গ্রেফতার করা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপিএমএল জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চিত্রল আসন থেকে ভোটে লড়তে পারেন মুশাররফ। করাচি থেকেও লড়তে পারেন বলে খবর আছে। মুশাররফকে ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়ায় নওয়াজ শরিফসহ পাক রাজনীতিকদের সমালোচনার মুখে পড়েছে শীর্ষ আদালত।
১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেছিলেন মুশাররফ। ২০০৮ সালে তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। তার পর একের পর এক ফৌজদারি মামলার মুখে পড়েছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here