মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৭ ওভার ৫ বলে ৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্যামুয়েল বদ্রির ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। পরবর্তীতে নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট।
৪২ রানেই প্রতিপক্ষের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে শেষ চারের দিকে কোয়ার্টার-ফাইনালে পরিণত হওয়া এই ম্যাচ জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সুনীল নারায়ণে ষোড়শ ওভারে সোহেল তানভীর ও আফ্রিদিকে বিদায় করলে পাকিস্তানের বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর তাদের ইনিংস আর বেশি দূর এগোয়নি। রানের হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এটি ক্যারিবীয়দের সবচেয়ে বড় জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বদ্রি ও সুনীল তিনটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ২২ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। লেন্ডল সিমন্স (৩১) ও মারলন স্যামুয়েলস (২০) চেষ্টা করলেও ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শিরোপাধারীরা।
সেখান থেকে ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে ড্যারেন স্যামির ৩২ বলে ৭১ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে রান-আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রান করেন ব্রাভো।
৪২ রানে অপরাজিত থাকেন স্যামি। অধিনায়কের ২০ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। ব্রাভো, স্যামির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৫ ওভার ৮২ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (স্মিথ ৮, গেইল ৫, সিমন্স ৩১, স্যামুয়েলস ২০, ব্রাভো ৪৬, রামদিন ৫, স্যামি ৪২*, রাসেল ০*; হাফিজ ১/১৫, আফ্রিদি ১/২৩, বাবর ১/২৭, তানভীর ১/২৭)
পাকিস্তান: ১৭.৫ ৮২ (শেহজাদ ০, কামরান ০, হাফিজ ১৯, উমর ১, মালিক ২, মাকসুদ ১৮, আফ্রিদি ১৮, তানভীর ১৪, গুল ৪, আজমল ১, বাবর ৩*; বদ্রি ৩/১০, সুনীল ৩/১৬, সানতোকি ২/৯, রাসেল ২/১৫)
ম্যাচ সেরা: ডোয়াইন ব্রাভো।