মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সম্ভাবনায় আশার সঞ্চার জেগে ওঠেছে নোয়াখালীবাসীর । জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নলকূপের পাইপ দিয়ে গ্যাস নির্গত হওয়ার পর গ্যাস নির্গত নলকূপের ওই স্থান পরিদর্শন করেছে বাপেক্স প্রতিনিধি দল। তিন সদস্যের পরিদর্শক দলটি নলকূপের পাইপ দিয়ে বের হওয়া গ্যাস পরীক্ষা করে দেখেন। পরিদর্শন শেষে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ঢাকার বাপেক্সে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, পরিদর্শক দলটি নলকূপের পাইপের মুখে আগুন জ্বালিয়ে দেখে। পাশাপাশি আলাদা পাইপ লাগিয়েও আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করে। এ ছাড়া তারা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে।
বাপেক্স ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বাপেক্সের উপ মহা-ব্যাবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আলমগীর হোসেন, উপ-ব্যাবস্থাপক (ভুতাত্বিকদল প্রধান) মো. আব্দুল বাতিন ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্ল্যাইড কেমিষ্টি এন্ড ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ ইউছুফ মিঞা ওই স্থান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শক দলের প্রধান বাপেক্সের উপমহাব্যবস্থাক (ডিজিএম) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নলকূপের পাইপ দিয়ে যে পরিমাণ গ্যাস বের হচ্ছে, তার চাপ খুব বেশি নয়। এর পরও নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরীক্ষার পর বলা যাবে কী ধরনের গ্যাস সেখানে আছে। তিনি বলেন, ভূগর্ভে থাকা ‘পকেট গ্যাসও’ এভাবে নলকূপের পাইপ দিয়ে বের হতে পারে।
এসময় প্রতিনিধিদল, নলকূপটি ব্যবহার না করার জন্য এবং এ গ্যাস থেকে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নলকূপটি বন্ধ করে দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ পরামর্শ দেন ।
পরবর্তীতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্ল্যাইড কেমিষ্টি এন্ড ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ ইউছুফ মিঞা সংবাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যপারে যথাযত পদক্ষেপ নিয়ে ও জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রায় মাস দেড়েক আগে বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় ২৫০ ফুট গভীর একটি নলকূপ বসানো হয়। নলকূপটি বসানোর পর থেকে ভেতরে থেমে থেমে শব্দ শোনা যায়। কৌতূহলবশত এলাকার ছেলেরা দিয়াশলাই জ্বালিয়ে নলকূপের মুখে ধরতেই ধপ করে আগুন জ্বলে ওঠে।