প্রফেসর স্টিফেন হকিং। বিশ্ববিখ্যাত এক বিজ্ঞানী। তার কোয়ান্টাম তত্ত্বের কারণে এই বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। তিনিই স্বীকার করলেন নারীরা রহস্যময়। দিনের বেশির ভাগ সময় তিনি এ নিয়ে চিন্তা করেন। আগামীকাল তার ৭০তম জন্মদিন।

এ উপলক্ষে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন নিউ সায়েন্টিস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নারীদের সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টেলিগ্রাফ।

এতে বলা হয়- স্টিফেন হকিংকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, দিনের বেলা আপনি সবচেয়ে বেশি সময় কি নিয়ে ভাবেন? জবাবে তিনি বলেছেন- নারী। তারা একেবারে রহস্যময়ী। তার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে সম্মান জানাতে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করেছে। এ ইভেন্টের নাম দেয়া হয়েছে- দ্য স্টেট অব দ্য ইউনিভার্স। এ আয়োজন করেছে সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল কসমোলজি। এই আয়োজন উপলক্ষে ওই ম্যাগাজিন তার সাক্ষাৎকার নেয়।

তার কাছে ওই সাক্ষাৎকারে স্টিফেন হকিংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়- বিশ্ব সম্পর্কে সবচেয়ে বিপ্লব সৃষ্টিকারী ধারণা কি হতো? জবাবে তিনি বলেছেন, সেটা হতো মৌলিক কণাগুলোর আবিষ্কার। সম্ভবত তা করা যেতো লার্জ হেড্রন কলাইডারে। তার সবচেয়ে বড় ভুল কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমি মনে করি- তথ্যগুলো ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরে ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে একটি থিওরির উন্নয়ন করা হয় যা তার মনকে পাল্টে দেয়। তিনি বলেন- এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল। অথবা হতে পারে বিজ্ঞানে এটা আমার সবচেয়ে বড় ভুল।

এর আগে গার্ডিয়ান পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না। আমি তো আগেভাগেই গত ৪৯ বছর মরার মতো বেঁচে আছি। আমার আবার মৃত্যুকে ভয় কিসের? তবে আমি তাড়াতাড়ি মরতে চাই না। আমার হাতে এখনও অনেক কাজ আছে যা আমাকে শেষ করতে হবে। মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রফেসর স্টিফেন হকিংয়ের দেহে ধরা পড়ে মোটর নিউরন রোগ। এ রোগে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে যায়। ফলে তিনি নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তাকে বলা হয়, তিনি আর মাত্র দু’-এক বছর বেঁচে থাকবেন। কিন্তু তিনি চিকিৎসকদের সেই পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে এখনও বেঁচে আছেন।

একটি কম্পিউটারচালিত হুইল চেয়ারেই কাটছে তার জীবন। এভাবে পেরিয়ে গেছে ৪৯টি বছর। এরই মধ্যে তিনি ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম- ফ্রম বিগ ব্যাং টু ব্ল্যাকহোল’ বই লিখে বেস্ট সেলার লেখকে পরিণত হন। তার দেয়া বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানকে বিশ্লেষণ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here