মহিলা ও শিশু হাসপাতাল উদ্বোধনস্টাফ রিপোর্টার :: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, নারী উন্নয়নকে সর্বাধিক প্রধান্য দিয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অনেক বড় প্রকল্প গ্রহন করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যৌথ ভাবে ঢাকার সেগুন বাগিচায় একটি মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। উত্তরা বাসির সুবিধার্থে উত্তরায় ও একটি মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতাল স্থাপন করেছে।

তিনি আজ বুধবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত “৫০ শয্যা বিশিষ্ট মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রিন ও ম্যাটবলিক হাসপাতাল” এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তিতায় এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন ডায়াবেটিক একটি নিরব ব্যাধি। যে কোন বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। তাই ডায়াবেটিকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া সহ চলাফেরা করতে হয়। আমাদের দেশে মহিলা ও শিশুরা ডায়াবেটিক ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এর সভাপতিত্বে এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন এইচ এন ডা. এম এ সামাদ প্রমুখ।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন কিশোর-কিশোরীরা অজ্ঞতার কারনে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় বোগে। এই লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে সকল ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করার প্রকল্প গ্রহন করেছে। এই সমস্ত ক্লাব কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচচালিত হয়।

মহিলা ও শিশুদের সুচিকিৎসার নিশ্চিত করতে সরকার পৃথক ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মান করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উল্টরা মডেল টাউনের ৮ নং সেক্টরে ৮.৫০ কাঠা জমির উপর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রিন ও ম্যাটবলিক হাসপাতালের ৭ তলা ভবন নির্মান করা হয়েছে। এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ মহিলা ও শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here