শিপু ফরাজি, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি :: চরফ্যাসনের রসুলপুর গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। এক দিকে প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকি অপর দিকে অভিযুক্তদের সাথে আপোশ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অব্যহত চাপ।
এক পর্যায়ে দিশেহারা হয়ে আজ সোমবার (১০ এপ্রিল) ওই ছাত্রী চরফ্যাশনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। এদিকে স্কুল শিক্ষার্থীরা এ ঘটবার বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে।
স্কুল ছাত্রী সাংবাদিকদের জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় সরকার দলীয় প্রাভবাশালী পরিবারের সন্তান আশেক, শরিফসহ ৪ বখাটে মেয়েটিকে টেনে হিচরে পাশ্ববর্তী হোগলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ক্ষেতে কাজ করারত শ্রমিকরা মেয়েটির গোঙ্গানির আওয়াজ পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
ওই দিনই মেয়েটি স্থানীয় শশীভূষণ থানায় গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু থানার ওসি আবুল বাশারের অবর্তমানে দায়িত্বরত এসআই গোলাম মাওলা বিষয়টিকে ইভটিজিং এর অভিযোগ গ্রহণ করে।
এরপর আসামীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে উল্টো তাদের সাথে আপোষ কারা জন্য পুলিশ কর্মকর্তা মেয়েটির পরিবারকে চাপ দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে মেয়েটি আজ সোমবার চরফ্যাশন উপজেলা শহরে এসে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের কাছে বিচার দাবি করে।
এদিকে দোষীদের গ্রেফতার না করলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনির উদ্দিন চাষী সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, একদিকে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী অপর দিকে পুলিশের অসহযোগিতায় মেয়েটি বিচার পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করেছে। এখন যদি এ ধরণের বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক সাস্তি দেয়া না যায় তা হলে গ্রামগঞ্জে মানুষ ইজ্জত নিয়ে থাকতে পারবে না। তিনি এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করেন।
ধর্ষণ চেষ্টার মামলা না নিয়ে ইভটিজিং এর অভিযোগে মামলা গ্রহণকারী এসআই গোলাম মাওলা ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ওই থানার ওসি আবুল বাশার জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি ইভটিজিং এর পর্যায়ে পড়ে না, ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।