স্টাফ রিপোর্টার :: গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে এমিরেটাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ঢল নামে।
তাকে একনজর দেখতে রাজধানী ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। খালেদা জিয়া বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর পুরো রাজপথে সৃষ্টি হয় জনস্রোত। নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। গাড়ির ভেতরে তাকে রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে নামার পর গাড়িতে চড়ে সরাসরি গুলশানে তার বাসার উদ্দেশে রওনা হন। সঙ্গে ছিলেন তার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা আখতার। রাস্তায় অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে গুলশানের বাসায় পৌঁছতে তার আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। রাত ঠিক ৮টায় তিনি বাসায় পৌঁছেন।
এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান দলীয় নেতাকর্মীদের বিদায় জানান। বাসায় পৌঁছার পর সেখানে তার ছোট ভাইয়ের বউ কানিজ ফাতেমা, উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি ভালো আছি দোয়া করো।’
আজ বৃহস্পতিবার জামিনের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ যাবেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
এদিকে বিমানবন্দরে আসতে নেতাকর্মীদের পদে পদে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন। তার ফেরা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নানা মন্তব্য করলেও সবকিছু মিথ্যা প্রমাণিত করে চেয়ারপারসন চিকিৎসা শেষে যথাসময়ে দেশে ফিরেছেন বলে জানান বিএনপি নেতারা।