দেশে ঘণ্টায় ৫ জন কিডনি রোগে মারা যায়ষ্টাফ রিপোর্টার :: কিডনিজনিত জটিলতায় প্রতি ঘণ্টায় পাঁচজন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হলে ৬০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্থূলতা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়: সুস্থ কিডনির জন্য সুস্থ জীবন ধারা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ তথ্য জানান।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. এম এ সামাদ।

আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, অধ্যাপক ডা. মহিবুর রহমান, বেলার নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, কিডনি রোগের চিকিৎসা এতই ব্যয়বহুল যে, এ দেশের শতকরা ৫ শতাংশ মানুষও এ রোগের চিকিৎসা নিতে পারে না। কিডনি সচল ও সুস্থ রাখতে অধিক পানি পান ও ব্যায়াম করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনের অভাবে মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে কিডনি নেয়া যায় না। এ কারণে কিডনি নিয়ে ব্যবসা হয়ে থাকে এবং পাশের দেশে গিয়ে অনেকেই কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসে। এতে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কিডনি সুস্থ রাখতে বেশি করে পানি পান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একই সঙ্গে ফাস্ট ফুড এবং কোমল পানীয় পরিহারের আহ্বানও জানান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কিডনি চিকিৎসায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। এটি আমাদের দেশের বাজেটের প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। কিডনি রোগে কেবল আক্রান্ত মানুষটি নয় চিকিৎসা করতে গিয়ে পুরো পরিবারটিই ধ্বংস হয়ে যায়। এ রোগ প্রতিরোধে কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম করা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুপ্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করা এবং নিয়মিত কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষার পরামর্শ দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here