আমেরিকায় বেকারত্ত্ব ঘোচানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা নিয়ে কখনও ভোটারদের হতাশ করবেন না বলে ফের দাবি করলেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, ইতিমধ্যেই দেশে কর্মসংস্থানে গতি এসেছে। ‘বিদেশি প্রতারণা’র হাত থেকে মার্কিন বাণিজ্যকে বাঁচানো নিয়েও ফের সরব হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন পণ্য কিনুন। আমেরিকায় উৎপাদন করুন। এটাই আমাদের মূল মন্ত্র। ’’

বোয়িংয়ের নয়া ৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার বিমানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকায় কর্মসংস্থান ও মার্কিন বাণিজ্য নিয়ে বার্তা দিতে এই মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, বিদেশি প্রতারণায় মার্কিন বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে তাঁর প্রশাসন। কড়াভাবে বাণিজ্যিক বিধি কার্যকর করা হবে।

ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন সংস্থাগুলিকে আমেরিকায় উৎপাদন করতে বলার ফল মিলেছে। নভেম্বর থেকেই বেড়েছে কর্মসংস্থান। ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, ফিয়াট-ক্রাইসলারের মতো সংস্থা দেশেই উৎপাদন বাড়াচ্ছে। অ্যারিজোনায় ইনটেল নয়া উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করবে। তাতে ১০ হাজার মানুষের চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।

এর পাশাপাশি এ দিনও মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করেছেন প্রেসিডেন্ট। গতকালও এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘স‌ংবাদপত্র, টিভি-সর্বত্র দেখছি আমেরিকায় এখন প্রবল বিশৃঙ্খলা। বাস্তবটা ঠিক বিপরীত। এই প্রশাসন খুব ভালো, যন্ত্রের মতো মসৃণ গতিতে চলছে। ’’ এদিকে আজ টুইটারে তিনি দাবি করেছেন, ‘‘যারা ভুয়া খবর প্রচার করে তারা আমার শত্রু নয়, মার্কিন জনতার শত্রু। ’’

মার্কিন রাজনীতিকদের মতে, সাত মুসলিম দেশের অভিবাসীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা-সহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের ফলে প্যাঁচে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই ফের নিজের পুরনো কায়দায় কথা বলে সহযোগীদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট। বোঝাতে চাইছেন যত সমালোচনাই হোক, তাঁরা ঠিক পথেই হাঁটছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here