আ হ ম ফয়সল, কাঠমুন্ডু (নেপাল) থেকে:

 

পঞ্চম দক্ষিণ এশীয় স্যানিটেশন সম্মেলন (সেকোসেন-৫) এ যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিরা স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন বাংলাদেশের অগ্রগতি অন্যান্য দেশে অনুসরণীয়।

গতকাল মঙ্গলবার নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর ইয়াকি-ইয়াতী হোটেলে আয়োজিত তিন দিন অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের উপ-রাষ্ট্রপতি পরমানন্দ ঝা।

সম্মেলনে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর স্যানিটেশন-সার্থকতা এই অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর অনুসরণ করতে পারে। এদিকে, বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারে দক্ষিণ এশীয়া স্যানিটেশনে এখন কিছুটা পিছিয়ে আছে। এ জন্য উন্নত স্যানিটেশন চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মোঃ শহিদ খান।

সম্মেলনে যোগ দিতে আসা জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) প্রতিনিধি স্টেফেন এরিখসন বলেন, স্যানিটেশনে দক্ষিণ এশিয়া সামগ্রিকভাবে এখনো খুব দুর্বল স্তরে আছে। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের নাজুক স্যানিটেশন ব্যাবস্থার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, স্যানিটেশনের অভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনো বছরে সাড়ে সাত লাখ শিশু মারা যায়।

সম্মেলনে বিকেলের অধিবেশনে বাংলাদেশ কান্ট্রি পেপার উপস্থাপন করবেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ শাখার যুগ্ম সচিব মোঃ সামছুল কিবরিয়া। তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের সার্বিক স্যানিটেশন পরিসি’তি ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ খোলা যায়গায় পায়খানা করে। যা দক্ষিণ এশিয় দেশসমূহের মধ্যে এক অভূতপূর্ব অর্জন হিসেবে অভিহিত হয়।

সম্মেলনের যোগ দিতে আসা জাতি সংঘের পানি বিষয়ক পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এনজিও ডর্‌পর প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনালে প্লেনারী সেশনে বলেন, দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি উন্নত স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সামগ্রীক ভাবে স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে দাদ্রিকে সামনে রেখে মাকে কেন্দ্র করে সকল ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। তা হলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছতে পারবো।

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ৬৮ জন প্রতিনিধিসহ, ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান, ভূটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে নেপালের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভক্তপুরকে পঞ্চম দক্ষিণ এশীয় স্যানিটেশন সেকোসেন-৫ উদ্বোধন করেন নেপালের রাষ্ট্রপতি রাম বরন ইয়াদভ।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here