স্টাফ রিপোর্টার :: ২০১৫ সালের ১১ মে বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে নিজ কর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হন ফারহান হোসেন (২৮)। অফিসের টেবিলে ল্যাপটপ খোলা রেখেই বের হন তিনি। তার বের হবার দৃশ্যটি অফিসের সিসি টিভিতেও ধরা পড়ে।
৩ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত ফারহানের কোন সুরাহা মেলেনি। তার সম্পর্কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা আজ পর্য ন্ত কোন তথ্য দিতে পারেনি।
পরিবারের মানুষগুলো আজও তার অপেক্ষায় আছেন। ফারহানের মায়ের চোখের জলও শুকিয়ে গেছে। এখনো কলিং বেলের আওয়াজে তিনি চমকে উঠেন। এই বুঝি তার ছোট ছেলে অফিস থেকে ফিরলো।
দুই ভাই এর মাঝে ফারহান ছিলেন ছোট। ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ, এমবিএ করে মহাখালীর ডিএনএস গ্রুপে কর্মরত ছিলেন ফারহান।
তার বাবা সাহাদাত হোসেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।তিনি জানান, বিভিন্ন স্থানে খোজা খুজির পর না পেয়ে ঐ দিন রাতেই রূপনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নাম্বার- ৪৩২। জিডি করার পর রূপনগর থানা থেকে জানানো হয়, নিখোঁজ ব্যাক্তির সর্বশেষ অবস্থান বনানী থানা এলাকায় বিধায়- সাধারণ ডায়েরী বনানী থানায় করার জন্য অনুরোধ করেন। তার প্রেক্ষীতে পর দিন ১২ মে বনানী থানায় পূনরায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার নাম্বার- ৫৫০।
ঘটনায় কোন সুরাহা করতে না পেরে নিখোঁজের পিতা একই বছরের ২৩ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার- ২০।
পরিবার, বন্ধুমহল এবং সহকর্মীদের ভাষ্যমতে ফারহান এমন একজন মানুষ যার কোন শত্রু থাকতে পারেনা। সদা হাস্যজ্জল মানুষটি সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসবে এটাই সবার কাম্য।