-তাহমিনা শিল্পী
বর্ষার গায়ে ঝুলছে অজস্র থার্মোমিটার
প্রচন্ড জ্বরের সম্ভাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ঘরে বিষকামড় বসিয়েছে
আরোহী পারদ বাঁচা-মরার আশংকায়- ওঝাও সেঁটে দিয়েছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন।
চূড়ায় ব্যাকুলতা সবুজ বৃক্ষের চারা গাছের গা বেয়ে উঠে স্বপ্ন গোড়ায় তার ড্রাগনের বাস,
ডানা ঝাপটায় শ্রান্ত চাতক কে যেন পয়গম নিয়ে আসে পাহাড়ের গা বেয়ে তাই মৃদু পায়ে হেঁটে আসে জলসিঁড়ি।
পলল তবু মেলে না তাতে বেদনা কমেনা বাতাসের, বাড়ে তৃষ্ণা কেবল,হাট করে খুলে রাখি সদর দরজা
এক ঘড়া জল নিয়ে যদি আসে কোন দেবতা অগ্নি বাতাসে শুধু দূর থেকে ভেসে আসে মুমূর্ষ পানকৌড়ির গোঙানীর আওয়াজ।
প্রকৃত রূপ ছাপিয়ে এমন অসংগতিই ছিল এবছর পুরো বর্ষা জুড়ে
নিউমোনিয়ার আশংকায় তাই ভেজেনি সে প্রবল বারিধারায়, ভিজায়নি তৃষিত এ চরাচর, আমাকেও নয়।
আজ যখন এলো তবে তার বিদায়ের ক্ষন ব্যথা তবু কেন বাজে বুকে, মন কাঁদে সকরুন সুরে!
ওগো বর্ষা মেয়ে! কোথা যাবি তুই মোরে ছেড়ে?
জানিসতো, মেটেনা তৃষ্ণা হৃদে তোর পরশ না পেলে জানি দূর দেশ হতে এসেছে তোর ডাক তার তরে এবার খেয়া তবে ছাড় যাবি যদি জেনে যা,
মনের কোণে রাখিব তোরে তোরে স্মরি বাজাবো মোর হাতের কাঁকন শীত-গ্রীষ্ণ, শরৎ-হেমন্ত আর বসন্ত জুড়ে।
লেখকের ইমেইলঃ– tahmina_shilpi@yahoo.com