মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় জোট ওর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ২০১৮ সালের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকায়। এ পৃক্ষিতে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ওআইসির নবনিযুক্ত মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ আয়োজন ও এ বছরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠককের আলোচনা সারতে এ মাসের শেষে সৌদি আরব যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসির জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এবারের বৈঠকে ধর্মীয় উগ্রপন্থা এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ওআইসি জোটসহ মুসলিম দেশগুলোকে পাশে চায় বাংলাদেশ।

ওআইসি মহাসচিবের সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গন মাধ্যমের কাছে বলেন, নতুন মহাসচিব যোগ দেয়ার পর তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি ঢাকা সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামী মাসে তার সফরটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ঢাকায় ২০১৮ সালের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী বছরের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সে বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য এবারের বৈঠকের প্রস্তুতি পর্বের বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জরুরি। তাছাড়া বৈঠকের আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেয়াও প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, ওআইসি ও সৌদি আরবের উদ্যোগে রিয়াদে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্বের যে জোট গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ তার প্রথম দিকের সমর্থনকারী রাষ্ট্রের অন্যতম। রিয়াদে প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী সেন্টারের সঙ্গে তথ্য-আদান এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া মুসলমানদের পবিত্রস্থান কাবা শরিফ এবং মসজিদে নববী সন্ত্রাসের হুমিতে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ সেনা পাঠনোর আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

জানা গেছে, এবারের বৈঠকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত আক্রমণ এবং তাদের পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সীমান্তের দিকে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে মিয়ানমার যে কৌশল নিয়েছে সে বিষয়টি ওআইসির বৈঠকে আরও জোরালোভাবে তুলতে চায় ঢাকা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here