বিশেষ প্রতিনিধি :: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ কিশোর-কিশোরী। এই কিশোর-কিশোরীদের একটি বিরাট অংশ প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্য এবং এর অধিকার সম্বন্ধে সচেতন নয়। এদের অনেকেরই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা নেই। অনেকে আবার বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলেও তা কিশোর-কিশোরীদের জন্য উপযোগী বা কৈশোরবান্ধব নয়। পুরো বিষয়টির প্রতি বড়দের নেতিবাচক বা বিরূপ মনোভাবও আরেকটি প্রতিবন্ধকতা বলে উল্লেখ করেছেন ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত একটি গোলটেবিল বৈঠকের আলোচকরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা মিলনায়তনে ‘কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
উপজেলা প্রশাসন, মহিলা অধিদপ্তর ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সুলতান হোসেন খান।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা।
গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও এনজিওর ৩০ জন কর্মী অংশ নেন।
বক্তারা কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
যুব সংগঠক সোহানুর রহমানের সঞ্চলনায় আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শেখেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ, ঝালকাঠি পৌর কাউন্সিলর নাসিমা কামাল প্রমুখ।