৮৯৮৭৯বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে :: জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব প্রদর্শনে বদ্ধ পরিকর। সংঘাতপূর্ণ এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে রয়েছে। গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘সশস্ত্র সংঘাত থেকে সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা’ শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশসহ ৬০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

গত বছর জাতিসংঘে আয়োজিত শান্তিরক্ষা সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সাধারণ নাগরিকের সুরক্ষার বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিয়েছে। সেই অনুযায়ী শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধান শান্তিরক্ষা উরুগুয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় জাতিসংঘের উপমহাসচিব ইয়ান ইলিয়াসন সাধারণ নাগরিকের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবতা ও মানবাধিকার আইন প্রতিপালনে সকল সদস্য রাষ্ট্রকে তাদের উদ্যোগ দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ মোমেন শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষায় পাঁচটি করণীয়ের উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে-নিরাপত্তা পরিষদ এবং শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা,  নিরাপত্তা পরিষদ, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো এবং শান্তিরক্ষী গ্রহণকারী দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সমর্থন স্থাপন, কে সুরক্ষা নিশ্চিত করবে-এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা দূরীকরণ, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা আরো জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নে সকল দেশ ও সংস্থাকে আরো মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।আলোচনায় অংশ নিয়ে স্থায়ী প্রতিনিধিরা সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদনের ওপর বক্তব্য রাখেন। তারা সাধারণ নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তাবিধান ও মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘকে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শনের আহবান জানান। তারা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে জাতিসংঘের আওতায় শান্তিরক্ষায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here