স্টাফ রিপোর্টার :: প্রয়াত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে তার চট্টগ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হবে। তার আগে ঢাকায় এই শিল্পীর নামাজে জানাজা হবে জাতীয় ঈদগাহের পাশে হাইকোর্ট মসজিদে।
সকালে নিজের বাসায় আইয়ুব বাচ্চু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান আইয়ুব বাচ্চুর সংগীতাঙ্গনের সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। হাসপাতালে দেখা গেছে ফকির আলমগীর, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, হানিফ সংকেত, ফাহমিদা নবী, কুমার বিশ্বজিৎ, কবির বকুল, এলিটা করিমকেও।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, তার মরদেহ এখন হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহের পাশে হাইকোর্টের মসজিদে আইয়ুব বাচ্চুর নামাজে জানাজা হবে। সেদিন রাতে বিদেশ থেকে তার ছেলে তাজয়াত আইয়ুব ও মেয়ে সাফরা আইয়ুব দেশে আসবেন। এরপর মরদেহ নিয়ে তারা মধ্যরাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবেন। শনিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে স্কয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. মো. নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আইয়ুব বাচ্চুকে অসুস্থাবস্থায় তার গাড়িচালক সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখনই আমরা ধারণা করেছিলাম যে তিনি হয়তো মারা গেছেন। কারণ তখনই তার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিলো। তবু আমাদের ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল তার দেখাশোনা করে এবং সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আইয়ুব বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছিলেন জানিয়ে ডা. নাজিম বলেন, তার হার্টের কার্যক্ষমতা ছিলো ৩০ শতাংশ। সর্বশেষ তিনি গত সপ্তাহে স্কয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে তিনি হার্টে রিং পরিয়েছিলেন।