নিউজ ডেস্ক :: কানাডায় গাঁজা বিক্রি বৈধ হওয়ার পর দেশটিতে এখন এই মাদকদ্রব্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গাঁজা বিক্রি করা প্রতিটি দোকানের সামনেই দেখা গেছে বড় ধরনের ভিড়। এমনকি গাঁজা না থাকায় এই ভিড় সামলাতে পুলিশ ডাকার মতো ঘটনা ঘটেছে।

টরেন্টোর সাবেক পুলিশ প্রধান ও সরকারের লিগ্যালাইজেশন প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী বিল ব্লাইর কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (সিবিসি) বলেন, এখন গাঁজার যে পরিমাণ চাহিদা, তা পূরণ করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি গাঁজার চাষ বাড়ালে এই বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। আমাদের গাঁজা চাষের জন্য ভালো জমিও আছে। আশা করছি আমরা বর্তমানে সৃষ্ট গাঁজার ঘাটতি পূরণ করতে পারব।

গত বুধবার বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি বৈধ ঘোষণা করে কানাডা। এর আগে উরুগুয়ে গাঁজা বিক্রি বৈধ করে। নতুন আইন অধীনে কানাডিয়ানরা প্রকাশ্যে ৩০ গ্রাম গাঁজা বহন করতে পারবে। এছাড়া বসতবাড়িতে সর্বোচ্চ চারটি করে গাঁজা গাছ লাগাতে পারবে তারা।

২০০১ সাল থেকে কানাডায় চিকিৎসার জন্য গাঁজা ব্যবহার করা বৈধ। জাস্টিন ট্রুডো সরকার দুই বছর কাজ করে প্রকাশ্যে গাঁজা বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার মতে, ২০১৮ সালে ৫.৪ মিলিয়ন কানাডিয়ান বৈধ ডিসপেনসারি থেকে গাঁজা কিনবে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। অবশ্য দেশটির ৪.৯ মিলিয়ন মানুষ ধূমপান করে।

গত শনিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here