স্টাফ রিপোর্টার :: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান। তাঁদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক।

৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। এই আপিল নিষ্পত্তিতে সময় বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, যা গতকাল চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।

খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

এর আগে সোমবার সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছেন তিনি

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here