জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধি:: ১৯৯২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত আইনে কৃষি জমির উপর ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকলেও যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাস্তা বারুইহাটির চার রাস্তা মোড়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ও ফসলি জমিতে ইটভাটা তৈরির কাজ চলছে। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুকির আশংকায় এ ইটভাটা তৈরির কাজ বন্ধ করার দাবী জানিয়ে এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক যশোরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কেশবপুর ভায়া চিংড়া সড়কের কাস্তা বারুইহাটি গ্রামের চার রাস্তা মোড় নামক স্থানে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফসলি জমিতে, পল্লীর ভিতরে ও মেইন সড়কে পাশে একটি ইটভাটা করার প্রস্তুতি চলছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
এ ইটভাটার চার পাশে একটি কওমী মাদ্রাসা, একটি সারদীয় পুজা মন্দির, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি, ক্লনিক, একটি বাজার ও একটি মসজিদ রয়েছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ এ ইটভাটা চালু হলে ফসল আবাদ ব্যহত হবে, পরিবেশের ভারসাম্য মারত্বক ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে। জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে। আর এ কারণে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ও ফসলি জমিতে ইটভাটা না করার দাবীতে এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক যশোরসহ বরাবর আবেদন করেছে।
নূরআলী মোড়ল, রাম প্রসাদ প্রসারী, ওমর আলী খাঁসহ ৭০ জনের স্বাক্ষরিত এ অভিযোগের অনুলিপি বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা, নির্বাহী কর্মকর্তা কেশবপুর, ইউনিয়ন পরিষদ সাগরদাঁড়ী দেয়া হয়েছে।
এদিকে কৃষি জমির উপর ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকলেও জনৈক সিদ্দিক নামে ব্যক্তি কোন খুটির জোরে ফসলি জমিতে ইটভাটা করছে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।