dfs sgআল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: কেঁচো কম্পোষ্ট প্রযুক্তি কৃষি খাতের আরেক নতুন সম্ভাবনা। কৃষকরা সচেতন হলে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। কৃষি কাজের মাধ্যমেও নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নসহ ভালো ফলন নিজেদের হাতের নাগালে। নিজের বাড়িতে বসে কেঁচো কম্পোষ্ট সার তৈরী ও ব্যবহারসহ চাহিদা অনুসারে তা বিক্রয় করেও কৃষকরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারে বলে মন্তব্য করেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে গামারীঢালা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মাঠ দিবসে কেঁচো কম্পোষ্ট প্রদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি সদর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও গামারীঢালা ব্লক দায়িত্বরত নীতি ভূষণ চাকমার সঞ্চালনায় সভায় এতে সভাপতিত্ব করেন, গামারীঢালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমলেন্দু বিকাশ চাকমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেটিনা চাকমা,স্থানীয় কৃষক-সমর কান্তি দেওয়ান ও নির্মল চন্দ্র তালুকদার প্রমূখ।

এ সময় প্রধান অতিথি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উন্নয়নের পথ আরো সুগম হয়েছে। বর্তমানে ৫০ জনের কাজ এক জন দিয়ে সম্ভব এবং ১০ ঘন্টার কাজ ১ ঘন্টায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা যাচ্ছে। ধান কাটা,মারাইসহ সব কিছুই একটি মেশিনেই হয়ে যাচ্ছে। তার জন্য শুধু চাই কৃষি বান্ধব স্ব-উদ্যোগী মনোভাব।

এতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতে ১৫জন কৃষকে নিয়ে কেঁচো কম্পোষ্ট পল্লী প্রর্দশন ও মাঠ দিবস উপলক্ষে উৎপাদিত মুগ ডাল,আউশ ধান প্রর্দশন করা হয়। এ কেঁচো কম্পোষ্ট সার প্রযুক্তি প্রয়োগ করলে দেড় মাসেই ফলসে ব্যবহার উপযোগি হয়ে যায় এবং কেঁচো কম্পোষ্ট ব্যবহারে ফসলে ভালো ফলনসহ নানা উপকারীতার কথা তুলে ধরেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান।

এতে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেটিনা চাকমা তার বক্তব্যে কৃষকদের সার-বীজ ব্যবহারবীধিসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। আলোচনা সভায় ফসল উৎপাদন, সার ব্যবহার, বীজ বপণসহ কৃষকদের করনীয় বিভিন্ন বিষয় প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সচেতনতা তুলক বক্তব্য তুলে ধরা হয়। এর আগে বজ্রপাত রোধে স্কুল মাঠে তালবীজ বপন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here