সোহানুর রহমান, ওয়েস্টমিনিস্টার, লন্ডন থেকে :: সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে লন্ডনে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন। সোমবার সকালে কুইন এলিজাবেথ টু কনফারেন্স সেন্টারে প্রিন্স হ্যারি কমনওয়েলথ যুব ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।
আগের দিন রোববার প্রিন্স হ্যারিকে কমনওয়েলথ ইয়াং অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব দেন সংগঠনটির প্রধান যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। নিজের দায়িত্ব নেওয়ার সুসংবাদ হিসেবে স্কলারশিপের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা দেন হ্যারি।
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যুব ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ স্কলারশিপের সংখ্যা ১৫০টি বৃদ্ধি করা হবে।
প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের সংখ্যা বাড়বে। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন ১৫০টি স্কলারশিপ যুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি। বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশের তরুণেরা এসব স্কলারশিপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সুযোগ পাবেন। বর্তমানে কমনওয়েলথ উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য স্কলারশিপের সংখ্যা প্রায় ৮০০।
তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজে খুব সম্মানিতবোধ করেন জানিয়ে হ্যারি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জনগণের ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। এরাই আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
তরুণদের উদ্দেশে প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তোমরা নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি করেছ। তোমরা তোমাদের দেশকে পরিচ্ছন্ন দেখতে চাও, সবুজ বিশ্ব চাও। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে তোমরা বন্ধু-প্রতিবেশী সবার জন্য ন্যায়সংগত আচরণ ও সম্মান আশা কর। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈষম্য, সংঘাত তোমাদের হতাশ করে না। বরং এগুলো তোমাদের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা প্রবল করে। আমি নিশ্চিত, তোমরাই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে।’
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের চিন্তা, পরিকল্পনা ও উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন বলে জানান প্রিন্স হ্যারি। অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কমনওয়েলথ যুবাদের সঙ্গে এটি তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর চার দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দুই দিন ১৯ ও ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে । ব্যবসা, নারী, যুব ও জনগণ—এই চারটি ভাগে চলছে আলোচনা, বক্তৃতা ও সেমিনার।সদস্যদেশগুলো সরকারপ্রধান ও মন্ত্রীদের বৈঠক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদের পটভূমিতে এবারের সম্মেলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী দেশটি।