আ হ ম ফয়সল :: এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ল্যাট্রিন সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন খাতের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বরাদ্দকৃত বাজেট সঠিক সময়ে মাঠপর্যায়ে পৌছানো, বাস্তবায়ন ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকারী-বেসরকারী সংগঠনগুলোকে সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘উন্নত স্যানিটেশ: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পলিসি সাপোর্ট ইউনিট, ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন ফর আরবান, ডরপ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ওয়াস এ্যালায়েন্স,্ এ্যান্ড ওয়াটার প্রভারটি, প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন, ডব্লিউএসএসসিসি, এনজিও ফোরামইউনিট এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, স্যানিটেশন একটি মানবাধিকার। এ অধিকার বাস্তবায়নে স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক বাজেট তৈরী করতে হবে। রাজধানীর বস্তি এলাকাগুলোতে টয়লেট ব্যবস্থা নাজুক। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে আরো সক্রিয় করার পাশাপাশি সকল স্তরের নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। স্যানিটেশন কার্যক্রমকে সফল করতে তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ফোরামকে কার্যকর করে সকলের মধ্যে আচরণগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী বছরের নভেম্বর মাসে সার্কভুক্ত দেশ সমূহের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ দক্ষিণ এশিয় স্যানিটেশন সম্মেলন (স্যাকোসেন-৬) আয়োজনের প্রস্ততিও নিচ্ছে সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) কাজী আব্দুল নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের প্রফেসর ড. মোঃ মজিবুর রহমান ও বেসরকারী সংস্থা ডর্প এর গবেষক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান।
বক্তব্য রাখেন, নেদারল্যান্ড এ্যাম্বাসীর ফাষ্ট সেক্রেটারী কারলী ডি গ্রুট, এডনমার্ক এ্যাম্বাসীর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এএসএম হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালায়েন্সের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার, প্রধান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী খালেদা হাসান, ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন ফর আরবানের নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সাহিন, ডর্প এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০১ সাল থেকে ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস’ পালিত হয়ে আসলেও ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়। এ বছর বিশ্ব টয়লেট দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সমতা ও মর্যাদা’।