england vs belgiumডেস্ক নিউজ :: দুই দলের দেখা হয়েছিল প্রথম রাউন্ডেও। আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সেদিন দুই দলের লড়াইটা ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেই ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ইংল্যান্ড ‘ইচ্ছা করে হেরেছিল’ বলেও অনেকে আঙুল তুলেছিল।

আজ আরো একবার মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আগের মতো এই ম্যাচেরও গুরুত্ব খুব একটা ছিল না। দুই দলের শিরোপা-স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গিয়েছিল আগেই। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের কি আর গুরুত্ব থাকে! তবে গ্রুপপর্বের মতো দুর্দান্ত খেলে ইংল্যান্ডকে আবারো হারাল বেলজিয়াম।

সেন্ট পিটার্সবার্গে থমাস মুনিয়ের ও এডেন হ্যাজার্ডের একটি করে গোলে ইংল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়েই বিশ্বকাপ শেষ করেছে বেলজিয়াম। বিশ্বকাপে এটাই বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ সাফল্য। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তারা চতুর্থ হয়েছিল।

সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকে আজ শুরুর একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিলেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। আরেক সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হারা বেলজিয়াম দলে পরিবর্তন ছিল দুটি।

নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি মুনিয়ের। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে সেই মুনিয়েরই এগিয়ে দেন বেলজিয়ামকে। বাঁ দিক থেকে চাদলির নিচু ক্রস থেকে মুনিয়েরের ভলি খুঁজে নেয় ইংল্যান্ডের জাল।

বেলজিয়ামের দশম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন মুনিয়ের। তাতে বেলজিয়াম ছুঁয়েছে ফ্রান্স (১৯৯৮) ও ইতালির (২০০৬) সর্বকালের রেকর্ড।

দ্বাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত বেলজিয়ামের। তবে কেভিন ডি ব্রুইনের শট ঠেকিয়ে ইংল্যান্ডের ত্রাতা গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

২৩ মিনিটে প্রথম ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। রাহিম স্টার্লিং বক্সের ভেতর বল দিয়েছিলেন হ্যারি কেনকে। কিন্তু বল বাইরে দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন টটেনহামের এই ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই আর ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটে ইংল্যান্ড প্রায় সমতায় ফিরতে যাচ্ছিল। মার্কাশ রাশফোর্ডের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার মাথার ওপর দিয়ে শট নিয়েছিলেন এরিক ডায়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন টবি আল্ডারভাইরেল্ড।

৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত বেলজিয়ামের। কিন্তু হ্যাজার্ডের ক্রস থেকে মুনিয়েরের জোরালো ভলি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান পিকফোর্ড।

দুই মিনিট পর বেলজিয়ামকে আর রুখতে পারেননি ইংলিশ গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণে ডি ব্রুইন এগিয়ে গিয়ে বল দেন হ্যাজার্ডকে। সঙ্গে লেগে থাকা জোনসকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান চেলসি ফরোয়ার্ড। তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বেলজিয়ামের।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here