imagelkআয়না থেকে নাকি কোনও অসতর্ক মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পারে তার ভিতরের জগতের বাসিন্দাদের কেউ কেউ। তার পরে যা ঘটতে পারে, তার চরিত্র রীতিমতো ভয়ের।

একেবারেই নিরীহ জিনিস। আপনার-আমার সকলের ঘরেই মজুদ। দিনে একবার অন্তত তার সামনে না গেলে চলে না আমাদের। আবার কেই কেউ তো থাকতেই পারেন না তাকে ছাড়া। আয়না এমনই এক বস্তু, যাকে ছাড়া হয়তো আমাদের দিনই কাটবে না। কিন্তু এই আয়নাই ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, সেখাবর আমরা রাখি কি?

পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতায় বার বার সাবধানবাণী শোনানো হয়েছে আয়নাকে ঘিরে। অনেক সংস্কৃতি আয়নাকে অন্য এক জগতে প্রবেশপথ বলে বর্ণনা কের, জীবিত আর মৃতের জগতের পার্থক্যটুকু লোপ পায় নাকি আয়নায়। আবার আয়না থেকে নাকি কোনও অসতর্ক মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পারে তার ভিতরের জগতের বাসিন্দাদের কেউ কেউ। তার পরে যা ঘটতে পারে, তার চরিত্র রীতিমতো ভয়ের। কী কী হতে পারে আয়না থেকে, দেখা যাক সেই সব অতিলৌকিক সাবধানবাণীর কয়েকটিকে।

• আয়না ভেঙে ফেলা নিয়ে রোমান আমল থেকেই সাবধানবাণী চলে আসছে। রোমানরা মনে করত, আয়না ভাঙলে আত্মার ক্ষতি হয় এবং এই ক্ষতি সারতে সাত বছর সময় লাগে।

• ইহুদি সংস্কৃতিতে কেউ মারা গেলে বাড়ির সমস্ত আয়না ঢাকা দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মনে করা হয়, মৃতের আত্মা আয়নার ফাঁদে আটকে থাকবে। এবং পরলোকে যেতে বাধা পারবে না।

• অনেক দেশেই ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঘরের আয়না ঢাকা দেওয়ার প্রথা রয়েছে। ধারণা এই, ঘুমন্ত মানুষের স্বপ্নকে আয়না আটকে দিতে পারে। সেখান থেকে তার আত্মাকে ফাঁদে ফেলতে পারে।

• আয়না নিয়ে সবথেকে জনপ্রিয় কাহিনিটি ‘ব্লাডি মেরি’-র নির্জন ঘরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মহিলারা যদি ব্লাডি মেরির নাম ধরে নির্দিষ্ট কয়েকবার ডাকেন, তাহলে সে আবির্ভূত হবে আয়নার মধ্যে। সে যে ঠিক কে, তা খুলে বলেননি অবশ্য কেউই।

• আয়নার আর এক বাসিন্দার নাম ‘ক্যান্ডিম্যান’। তার চরিত্রও ব্লাডি মেরির মতোই।

• পশ্চিমের অবিবাহিতা মেয়েদের মধ্যে আয়না নিয়ে অনেক সংস্কার চালু রয়েছে। তার মধ্যে একটি— আপেল খেতে খেতে আয়না দেখলে নাকি হবু স্বামীকে দেখতে পাওয়া যায়।

• অনেক জায়গাতেই রাতে আয়না দেখা বারণ। অথাবা মোমবাতির আলোয় আয়না দেখা নিয়ে চেতাবনি রয়েছে। কারণ, এতে নাকি ভূত দেকার সম্ভাবনা যথেষ্ট।

• অনেক সময়েই আয়নাকে অতিপ্রাকৃত জগতের দ্বার বলে মনে করা হয়। অপ্রাকৃত জীবরা আয়নার মাধ্যমেই নাকি এই জগতের সঙ্গে সংযোগ রাখে।

• একই সঙ্গে আয়নাকে এই জগতের অনেক অতিলৌকিকতাবাদী অন্য জগতে গমনের ‘পোর্টাল’ বলে মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here