আলীকদমে দুটি উন্নয়ন কাজে ব্যাপক দুর্র্নীতির অভিযোগএনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: নির্মাণ কাজের নামে এবার লুটপাট শুরু করে দিয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার আলীকদম উপজেলায় ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের বান্তবায়ন নামে প্রকাশ্যেই লুটপাট করা হলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে পুরোপুরি নির্বিকার।

স্থানীয়দের গুরুতর অভিযোগ- ওই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পেয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচাহ্লাচা মারমার পুত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা অংশে থোয়াই মারমা।

পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রকৌশল বিভাগের সুত্র জানায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের মংচপাড়া এলাকায় প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার দীর্ঘ ইটের সলিং রাস্তা, ৫টি কালভার্ট, ৩০০ ফুট আরসিসি ও ২০০ ফুট ব্রিক্স ওয়ালের নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়।

১০ লাখ টাকা ব্যয়ে করুকপাতা ইউনিয়নের পোয়ামুহুরী এলাকায় রিনলক পাড়া থেকে মেকনক পাড়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পাহাড় কেটে মাটির রাস্তা তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উন্নয়ন কাজ দুটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াই চাহ্লা মারমার ছেলে আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ঠিকাদার অংশে থোয়াই মারমা। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়- ওই ২টি উন্নয়ন কাজ গোপন টেন্ডার দেখিয়ে পরিষদ কর্র্তৃপক্ষ থেকে পরিষদ সদস্য থোয়াই চাহ্লা তার পুত্রের নামে ভাগিয়ে নেয়।

ওই ২টি উন্নয়ন কাজে নি¤œমানের ইট বালি এবং অটোরড(বাংলা লোহা) ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকৌশলগত নির্দেশনা সত্বেও সমতল ভ’মি বা চাষাবাদের জমি থেকে ৮-১০ ফুট উঁচু রাস্তা এবং কালভার্ট নির্মাণের কথা। তা না করে নির্মাণ নির্মাণ করা হচ্ছে মাত্র আড়াইফুট উঁচু প্রটেকশন ওয়াল।

কোথাও কোথাও আরসিসির স্থলে ব্র্ক্সি দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই এলাকার সচেতন নাগরিক জামাল উদ্দিন, জাফর আলম, মংসানু মারমা এবংথোয়াইচিং মারমা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ২টির কাজ চলমান থাকলেও তদারকিতে নেই কোন সাইট প্রকৌশলী বা কার্যসহকারী। নেই কাজের কোন মান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীই প্রকাশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রেপ্টন ম্রো বলেন, মাটির তৈরি কাঁচা রাস্তাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে মাটি কেটে এবং জঙ্গল পরিস্কার করে ঠিকঠাক করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের তৈরি রাস্তাটি বৃষ্টিতে ভেঙ্গে এবং জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল বলেও তিনি জানান।

ঠিকাদার অংশে থোয়াই জানান, প্রকল্প ২টিরে কাজে অনিয়ম বা দুর্নীতীর আশ্রয় নেয়া হয়নি। সিডিউল মতেই কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, দূর্গমতার কারণে উন্নয়ন কাজগুলো পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি, তবে সাইট প্রকৌশলীদের নিয়মিত তদারকি রয়েছে। অভিযোগ পেলে কাজের বিল প্রদান করা হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here