বিডিআর বিদ্রোহের মামলার রায় ঘোষিত হলো:
ঢাকা: দীর্ঘ চার বছর পর বিডিআর বিদ্রোহের মামলার রায় ঘোষিত হলো।
এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের আপনজনরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে দণ্ড দেয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তৎকালীন বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদসহ ১৫৪ জনের ফাঁসি, ১৫৯ জনের যাবজ্জীবন, ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ২৭১ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও যাদের খালাস দেয়া হয়েছে তাদের শাস্তি চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অপরপক্ষে আসামিপক্ষ ‘অন্যায়ভাবে’ দণ্ড দেয়ার অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে রায় চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে।
রায় ঘোষণার পর বিজিবির (সাবেক বিডিআর) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার আপনজন খুশি। যাদের সাজা হয়েছে তাদের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কাজল বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনির সরকার বলেন, ন্যায় বিচার করা হয়নি, সাজাপ্রাপ্তদের অনেক অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সাক্ষীদের মধ্যে অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী না হওয়া সত্ত্বেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে এ রায় চ্যালেঞ্জ করবো।