হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগী। এই নিয়ে গত দু’দিন দেশের মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠেছিল।
তার বড় ছেলে সামন্ত হাসান এশা জানান, সেদিন আনুমানিক সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আমাকে কলেজে নামিয়ে আসার পর বাসায় গাড়িটি পার্ক করে দারোয়ানের কাছে চাবি দিয়ে বাবা বেরিয়ে যান।
যাওয়ার সময় দারোয়ানকে বলেন, ‘তোমার খালাম্মাকে চাবিটা দিয়ে দিও’। তার পরনে ছিল সবুজ ফতুয়া ও কালো প্যান্ট। এরপরেই নড়েচড়ে বসে দেশের মিডিয়াগুলো।
জানা গেল, পারিবারিক কলহ ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া হাসানের সঙ্গে রাগারাগি করে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এরপরেই আজ কলাবাগান থানায় এসে জানালেন তিনি তৃতীয় স্ত্রীর কাছে ছিলেন এতোদিন।
আজ সোমবার পুলিশের কাছে বৈরাগী স্বীকার করেছেন যে তিনি আত্মগোপনে যাননি। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী রাজিয়া হাসানের সঙ্গে রাগারাগির জের ধরে ঘর ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় উঠেছিলেন।
বৈরাগী জানান, ২০ বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকলেও তারা রেজিস্ট্রি বিয়ে করেননি। তাদের ঘরে এক সন্তান রয়েছে। ৪১ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজে এসে কলাবাগন থানায় হাজির হন ফখরুল হাসান বৈরাগী। পরে পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায়।
উল্লেখ্য, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজিয়া হাসানকে বিয়ে করেন ফখরুল হোসেন বৈরাগী। এই ঘরে তার দুই সন্তান। তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে বৈরাগীর এক সন্তান।